শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রের বরাত দিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানাযায় মেয়াদ উত্তির্ন সকল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব নির্বাচনে ইভিএম এর সাহায্যে ভোট গ্রহন করা হবে মর্মে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে দেড় লক্ষ ইভিএম যন্ত্রের প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যে ১লক্ষ ১৬ হাজার ইবিএম সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বাকি ৩৪ হাজার ইভিএম সত্তরই সংগৃহীত হবে বলে সূত্রে জানাগেছে। একটি অসমর্থিত সূত্রে জানাগেছে আসন্ন এসব স্থানীয় নির্বাচনের তারিখ কয়েক সপ্তাহ এগিয়ে আসতে পারে। সূত্রটি আরো জানায়, বিগত উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জ জেলায় যেমন দলীয়ভাবে কোন মনোনয়ন দেয়া হয়নি,তেমনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন নাও দেয়া হতে পারে। প্রাপ্ত সংবাদটি সঠিক হলে আগামী বছরের প্রথম দিকেই নির্বাচন শুরু হতে পারে এবং উন্মুক্ত মাঠের লড়াই হবে দর্শনীয় সে সঙ্গে ভোটাররা হবেন মূল্যায়িত।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মুকসুদপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলের জাতীয় ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি থেকে অর্ধ ডজনের উপরে প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এদের অনেকেই প্রায় প্রতিদিনই উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ঘোরাফেরা করছেন। কেউবা স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সুদৃষ্টির প্রত্যাশায় রাজধানীতেও নিয়মিত যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি প্রার্থীরা তাদের নিজ ইউনিয়নে নিয়মিত গনসংযোগ করে চলেছেন। নিজস্ব কর্মীবাহিনী গঠন করে অনেকে প্রতিটি গ্রামের খোঁজ খবর সংগ্রহ করছেন। ঝিমিয়ে পড়া পূরোনো আত্মিয়তা নতুন করে সচল করে নিজের পাল্লাকে ভারি করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন। কেউবা ছোট পরিসরে উঠোন বৈঠক করছেন নিয়মিতভাবে। চায়ের দোকানের খরচও বাড়িয়ে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শরীর ও মনের সকল কষ্টকে চাঁপা দিয়ে সার্বক্ষনিক মুখের হাসি ধরে রাখছেন সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচন ১৯১৭ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে এ পৌরসভার নির্বাচন হতে এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি থাকলেও ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন স্তরে লবিং করে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র এ্যাড.আতিকুর রহমান মিয়া দলীয় মনোনয়ন চাইবেন ধরেই নেয়া যায়। এছাড়াও অন্য যারা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সাবেক মেয়র সাজ্জাদ করিম মন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা হুজ্জাত হোসেন লিটু, মোঃ আমান খান আমান, বরকত খান, মিজানুর রহমান মন্টু ও পৌর আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মোল্যা। প্রাসংগীক বিষয়ে আলাপকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম শিমুল জানান, নির্বাচনের সময় এখনো অনেক বাকী। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অনুকুল পরিবেশ থাকলে তিনি হয়তো পৌর নির্বাচনে আসতেও পারেন।
বিগত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দেয়া মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনা থাকলেও ৩টি ইউনিয়ন ব্যতীত সকলেই জয়লাভ করেন। উক্ত নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যানদের মধ্যে গোবিন্দপুর,খান্দার পাড়া, উজানী, বাঁশবাড়িয়া,ভাবড়াশুর,রাঘদি,বাটিকামারী,কাশালিয়া ও মোচনা ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন আগামী ইউপি নির্বাচনেও তারাই দলের মনোনয়ন পাবেন এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই। অন্য ইউনিয়ন গুলিতে নতুন মুখ আসতে পারে বলে অনেকের ধারনা। মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এ্যাড.আতিকুর রহমান মিয়া নির্বাচিত হন। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। বিগত এসব নির্বাচন নিয়ে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এরজন্য প্রশাসনের নির্লিপ্ততাকেই সমালোচনাকারিরা দায়ী করেছেন। আসন্ন এসব স্থানীয় নির্বাচনে সকল তদবির উপেক্ষা করে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে এমন প্রত্যাশা করেছেন অনেকে। এর অন্যথা হলে শুধু সমালোচনাই হবেনা, দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নির্দেশকেও অবমূল্যায়ন করা হবে; যার দায় গড়াবে স্থানীয় নেতাদের উপর।