বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
মাহবুব হাসান বাবরঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদের লেখা পড়ে মুগ্ধ হই -যারা সমাজের ইতিবাচক দিক নিয়ে লেখেন তাদের ভেতরে পছন্দ ও শ্রদ্ধার তালিকায় ডাঃ ইকবাল অন্যতম। শ্রদ্ধাভাজনেষু এ মানুষটি পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও তিনি একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে তথ্যবহুল লেখা উপস্থাপন করে ইতোমধ্যে অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক যত্নশীল চিকিৎসক হিসেবে সেবা প্রাপ্তিদের সুনজরে আছেন।
মেধা-পরোপকারী মানসিকতা -দায়িত্বশীলতা তাকে এনে দিয়েছে আলাদা মর্যাদা।
ব্যাক্তিগতভাবে কখনও তার সাথে সরাসরি দেখা হয়নি। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে। আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি। কথা হয়েছে রোগ-শোক নিয়ে। আমার আপন সহোদর রাজবাড়ীর এডিসির সাথে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। পারিবারিকভাবে আমরা সবাই অসুস্থ হলে বা ক্রিটিক্যাল মূহুর্তে ডক্টর ইকবাল আমাদের দিকপাল।
মেডিকেল কলেজে বেশ কয়েকবার তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়ে দূর্ভাগ্যবশত দেখা হয়নি। রাজবাড়ীর সন্তান হয়েও ফরিপুরেও ব্যাপক জনপ্রিয়। রোগীদের সাথে আলাপকরে জানা যায় ডক্টর ইকবালের সামনে গেলেই নাকি অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়।স্বভাবসুলভ হাসিতে রোগীর সজনরাও নাকি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পেশাগত দিকটা না হয় বাদই দিলাম। তাঁর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানলাম অনুজ আশেকের কাছে। সব মিলিয়ে একজন দারুন মানুষ। নিরহংকার এই মানুষ রাজবাড়ীতে অনেক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি একজন সংগঠকও বটে।তিনি অন্য দশজন চিকিৎসকের মতো নয়। তার ভেতরে সামাজিক দায়বোধও আছে। সে দায়বোধ থেকে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন মানুষের পাশে থাকতে।
তার লেখালেখির হাতও পরিপক্ক। লেখার ধরনটা অনেকটা সমাজ বিনির্মানে। দক্ষ লেখা সবসময়ই ইঙ্গিত দেয় ইতিবাচকের। তাঁর লেখাগুলো অনেক সময় ক্ষোভেরও। ক্ষোভটা ঘুনেধরা সমাজের প্রতি। ক্ষোভটা আমাদের প্রতি যারা শুধু ফেসবুকে বুলি ছাড়ি বাস্তবতা আর কাজ বাদ দিয়ে।
ডক্টর ইকবাল আপনাকে স্যালুট জানাই। আপনাকে সাধুবাদ জানাই। আপনার প্রতিটি লেখার মাঝে কিছু না কিছু শিখি। আপনি আমাদের মতো নন। আমরা শুধু ছবি পোষ্ট করেই কমেন্টেসের আশায় ক্ষান্ত-আমরা কেবলই স্টাটাস নির্ভর। মানব সেবার ব্রত নিয়ে যেদিন কলম ছুয়েছিলেন সেদিনই বোধহয় বিধাতা আপনাকে সমাজ বদলের কালিটাও ভেতরে দিয়ে দিয়েছেন।
আপনি দীর্ঘজীবী হন। আপনার মতো মানুষ বহুবছর বেঁচে থাকার প্রয়োজন। আপনি শুধু একজন ভালো চিকিৎসকই নন সমাজ সংস্কারকও বটে।
জাতির জনকের পূন্যভুমি গোপালগঞ্জের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবার রাজবাড়ীতে গেলে আপনাকে দেখার লোভ আর কথা বলার ইচ্ছেটা কেউ সামলাতে পারবেনা।
আপনার মতো চিকিৎসক-আপনার মতো সৃজনশীল চিন্তা চেতনার মানুষ নিয়ে আমরাও গর্ববোধ করি।
আপনি আমাদের বাতিঘর
আপনি আমাদের অর্জন
আপনি আমাদের মাদার তেরেসা।