বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

দাকোপে খলিষা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় রিং বাঁধ সম্পন্ন। কৃষকদের ক্ষতি পূরনের দাবী।

দাকোপে খলিষা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় রিং বাঁধ সম্পন্ন। কৃষকদের ক্ষতি পূরনের দাবী।

জিএম,আজম, দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি:
দাকোপে পৃথক দু’টি স্থানে বেড়ী বাঁধের ভাঙন কবলিত এলাকার রিংবাঁধ সম্পন্ন হয়েছে। খলিষা এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে এলাকার চাষিরা। সেখানে পানি প্রবেশ বন্ধ সহ ৩১,২৮,৮০০/- টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন। উদ্ধোতর্ন কর্তপক্ষের নিকট ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতি পূরনের দাবী জানিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নং পোল্ডারের অধীন পানখালী ইউনিয়নের খলিষা এলাকায় গত সোমবার আনুমানিক ৩শ’ মিটার বেড়ী বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই স্থান দিয়ে নদীর পানি ঢুকে পানখালী ইউনিয়ন এবং চালনা পৌর এলাকার ৪ টি গ্রামের ফসলের মাঠ লবন পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া ভাঙন এলাকায় বিপুল রায় এবং অনাদী রায় নামের দু’টি পরিবারের বসত বাড়ী আংশিক নদী গর্ভে চলেযায়। এ ঘটনায় ৩৬ জন চাষিদের তরমুজ, মুগডাল, ধান, ভুট্টাসহ মাছ আনুমানিক ৩১.২৮.২০০টাকার জমির ধানসহ তরমুজ,মাছ এবং সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত চাষী পলাশ রায়, ক্ষিতিশ রায়, ভবতোষ রায়, নিরাঞ্জন রায় জানান তাদের জমির উপর দিয়ে নতুন ভাবে বাধঁ নির্মান করা হচ্ছে। তাদের সামান্য ফসলি জমি আছে। তার মধ্যদিয়ে রাস্তা নির্মান করে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতি পুরনের দাবী কর্তৃপক্ষের নিকট।

ফসলি জমির ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক চিত্তরঞ্জন রায়, রনজিৎ হালদার, অনিমেশ রায়, গোবিন্দ রায়, পাইলট রায়, নিত্যরায়, শুখদের রায়, প্রশান্ত রায়, অরবিন্দু রায় জানান পশুর নদীথেকে যত্রতত্র ভাবে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনের কারনে এ এলাকায় ভেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে তাদের জমি ও ফসল অপূরনীয় ক্ষতির কবলে পড়েছে।
ইউপি সদস্য জ্যোতি সংকর রায় বলেন, পানখালী ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে তিনটি স্থানে(ফেরিঘাট, মোড়ল বাড়ির সামনে ও আনান্দর বাড়ির সামনে) ভয়াবাহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রায় ২৫শতক ভিটা বাড়ি আনন্দর নদী গর্ভে চলেগেছে। বুধবার সকালে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ^াস ঘটনাস্থলে থেকে বাঁধ নির্মান কাজ তদারকি করেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাঁধ নির্মান সহ কাজ চলমান রয়েছে।

অপরদিকে একই পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ঝালবুনিয়া এলাকায় বেড়ী বাঁধ ভেঙে যায়। তবে সেখানে বড় ধরনের ক্ষতির আগেই পানি আটকানো সম্ভব হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন পাখালী খলিসা এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ৩৬ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তরমুজ ২.৬৯ হেক্টর মুগডাল ০.৬৭ হেক্টর, ধান ১ হেক্টর, ভূট্টা০.১০ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নদীর পানিতে ডুবে কৃষকদের ৩১.২৮.৮০০ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান বলেন, ভাঙ্গন এলাকায় ৩৫ থেকে ৪০জন মৎস্য চাষির পুকুর তলিয়ে প্রায় ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। সরকারী ভাবে ক্ষতি পুরনের জন্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়েছে। ফলে আপাতাত পানি ঢোকার সম্ভবনা নাই। স্থায়ীভাবে বাঁধটি টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com