বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃতি সন্তান জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার প্রথম ভিসি হিসেবে গত ৩ মে যোগদান করেছেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোঃ মুজিবর রহমান বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরীর সুবাদে খুলনায় তার গড়ে উঠা। তিনি শিক্ষা জীবনে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৮ সালে এস এস সি ,খুলনা বি এল কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে এইচ এস সি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর ৮ম বিসিএসধারী বরিশালের গৌরনদী সাব সেন্টারে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান এন্ড সার্জন থেকে ডাঃ মাহবুব হেমাটোলজি বিষয়ে দেশের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফএসিপি এবং ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্য হতে এফআরসিপি ফেলোশিপ অর্জন করেন। ব্যক্তি জীবনে সৎ ও নিভৃতচারী অধ্যাপক মাহবুব দীর্ঘদিন ধরে তিনি ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি হতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হোমোটোলজর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের আজীবন সদস্য এবং ৫ বছর সোসাইটির সাধারন সম্পাদক ও ২ বছর সভাপতির পদকে অলংকৃত করেন। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনে অনুমোদন দেয় জাতীয় সংসদ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এটা নিয়ে দেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হবে পাঁচটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রূপসা নদীর পশ্চিম পাড়ে মাথাভাঙ্গা মৌজায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১০০ একর জমির সংস্থান আছে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির আর প্রয়োজন হবে না। খাস জমির ওপরেই গড়ে উঠবে দক্ষিণাঞ্চলের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।