বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর বলেছেন, এইচপিভি টিকার সাথে বন্ধ্যাত্বের কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়া টিকা কার্যক্রমের সাথে ধর্মীয় অনুশাসনের কোন নেতিবাচক সম্পর্ক নেই।
এই ধরনের গুজব এবং প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বুধবার( ৩০ অক্টোবর) ইপিআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চলমান এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর বলেন, গতকাল একটা কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলাকালে হঠাৎ টিকা নেওয়ার পর দুজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের অসুস্থ হওয়া দেখে পরবর্তীতে আরো কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। বর্তমানে এদের সবাই সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য পাঁচজন ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোন টিকা নেননি। প্রাথমিকভাবে রোগটি ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত যে কোন টিকা দেয়ার পর খুবই নগণ্য পরিমাণ টিকাগ্রহনকারীর শরীরে সাময়িক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তখন টিকা গ্রহণকারী শুয়ে বিশ্রাম নিলে খুবই অল্পসময়ের ভেতর ভালো বোধ করে। এই বছর এইচপিভি টিকাদানের টার্গেট ৬২,১২,৫৩২, গত ২৯/১০/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত ১৮,১৭,৩২৬ জনকে টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে (৩১%)।
৭টি বিভাগে মাত্র ২৭১ জনের শরীরে জ্বর, ব্যথা এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যেটা সংখ্যার বিচারে খুবই নগণ্য। মাত্র ০.০০০১৪ %।
বাংলাদেশে এই টিকাদান কর্মসূচীতে এইচপিভি টিকা- cervarix (GSK, Belgium) বেলজিয়ামে উৎপাদিত হয়। সারা পৃথিবীতে ১৪০টি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে যার মধ্যে ১৪টি মুসলিম দেশ (সৌদি আরব, কাতার, ইউএই, মালয়েশিয়া, মরোক্ক, কুয়েত, মালদ্বীপ উল্লেখযোগ্য) অন্তর্ভুক্ত।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের অন্যতম সফল কার্যক্রম-ইপিআই এর মাধ্যমে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগের ১৩ টি জেলা ও ০৪ টি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৩ অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, অবশিষ্ট অন্যান্য ০৭ টি বিভাগ এবং ০৮ টি সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত ১০-১৪ বছর বয়সী সকল কিশোরীদের মাঝে অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ কার্যক্রম আগামী ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা. মো শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. রিজওয়ানুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. এ বি এম আবু হানিফসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।