মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে ১৪ মাস পরে নিখোঁজ এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার

মুকসুদপুরে ১৪ মাস পরে নিখোঁজ এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার

বাংলার নয়ন সংবাদঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নিখোঁজের ১৪ মাস পরে আশা এনজিও কর্মী রায়চরনের লাশ উদ্ধার করেছে সিআইডি।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকালে উপজেলার গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, রায় চরনকে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর খুন করে তার লাশ বস্তাবন্দী করে কলাবাগানে পুঁতে রাখে ওই গ্রামের মাহমুদুল হাসান সেন্টু। সেন্টু দুর্গাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ রায়চরন গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে। সে মুকসুদপুরে আশা এনজিওর ফিল্ড কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলো।

লাশ উত্তোলনের সময় দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জ জেলা সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ সিআইডির সিনিয়র এএসপি জাহাঙ্গীর আলম, মুকসুদপুর থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের সিআইডির এএসআই রবিউল ইসলামসহ সিআইডি ও মুকসুদপুর থানা পুলিশ।

গোপালগঞ্জ সিআডি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফাতেহ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামী সেন্টুকে নজরদারীতে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এনজিও কর্মীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইএমি নাম্বার ট্রেস করে জানা যায় বরগুনার তালতলীতে খুনী সেন্টুর স্ত্রীর বড়বোন নারগীসের কাছে ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাকে আনার পর সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে সে স্বীকারউক্তি দেয় যে তাকে খুন করে কলাবাগানে পুঁতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ঘাতক সেন্টু। সেন্টুকে এই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে দুই মাস হাজত বাস করে পরে জামিনে ছিল। পরবর্তীতে ভিকটিমের মোবাইল সেটের আইএমই নাম্বার ট্রাকিং করে লাশ গুমের তথ্য উৎঘাটন করে লাশ উত্তোলন করা হলো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com